ইরানে ইসরায়েলের হামলার আসল যে কারণ


ইসরায়েল আরও দাবি করছে, ১২ জুন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গেছে, ইরান ২০০০ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ সংক্রান্ত চুক্তির (এনপিটি) শর্ত লঙ্ঘন করেছে।

সে কারণেই তারা হামলা করেছে বলে তাদের দাবি। কিন্তু আইএইএ নিজেও এমন দাবি সমর্থন করেনি। ওই প্রতিবেদনে এমন কিছু নেই যা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো আগেই জানত না।

ইসরায়েল সরকার আরও বলছে, এই ‘প্রতিরোধমূলক’ হামলার আরেকটি লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে নেতৃত্বশূন্য করে দেওয়া বা ধ্বংস করা। কিন্তু নীতিনির্ধারক ও গবেষকদের মতে, ইসরায়েলের একার পক্ষে এই কর্মসূচিকে ধ্বংস করা সম্ভব নয়।

যেভাবে ইসরায়েলি অভিযান চলছে, তা দেখে বোঝা যাচ্ছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ধ্বংস করা আসল লক্ষ্য ছিল না।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিভিন্ন সামরিক ও সরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। তারা ইরানের মিসাইল ঘাঁটি, গ্যাসক্ষেত্র, তেল ডিপো থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত হেনেছে। তারা একের পর এক ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতাদের হত্যা করেছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলী শামখানি। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন। মনে করা হয়, তিনি গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলা আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

আলী শামখানির হত্যা এবং তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজনকে টার্গেট করে হত্যা করার ঘটনায় ইসরায়েলের প্রিয় কৌশলগুলোর প্রতিফলন ঘটেছে। ইসরায়েল প্রায়ই সেই সব ব্যক্তিদের হত্যা করার চেষ্টা করে যাঁদের ব্যাপারে দেশটি মনে করে যে, তাঁদের মৃত্যুতে তাঁদের পরিচালিত একটি ব্যবস্থা বা প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়বে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *