যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পাহাড়ের নিচে লুকানো পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলোয় দূরপাল্লার স্টিলথ বোমারু বিমানে শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করে। হোয়াইট হাউস থেকে তিন মিনিটের এক ভাষণে ট্রাম্প এই অভিযানকে ‘অসাধারণ সামরিক সাফল্য’ বলে ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’ ট্রাম্প স্পষ্ট হুমকি দেন, ‘আমরা শান্তি চাই। নয়তো গত আট দিনে যা ঘটেছে, ইরানের জন্য তার চেয়ে অনেক বড় এক অভূতপূর্ব বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখনো অনেক টার্গেট বাকি। শান্তি দ্রুত না এলে আমরা সেই টার্গেটগুলোয়ও নিখুঁতভাবে, দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে হামলা চালাব।’
কিন্তু ইরানের জনসংখ্যা ইরাকের দ্বিগুণ। বহু দশক ধরে সীমান্ত পেরিয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছে তারা। যদি ইরান মার্কিন নাগরিক বা সেনাদের ওপর প্রতিশোধ নেয়, তাহলে সংঘাত দ্রুতই ছড়িয়ে পড়বে।
এই ঝুঁকির কারণেই ট্রাম্পের আগের কোনো প্রেসিডেন্ট ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সরাসরি হামলার পথে হাঁটেননি। মার্কিন সিনেটে সশস্ত্র বাহিনীবিষয়ক কমিটির ডেমোক্র্যাট শীর্ষ নেতা জ্যাক রিড বলেন, ‘ট্রাম্প এক বিশাল জুয়া খেলেছেন। এর ফল কী হবে, তা এখনো কেউ জানে না।’