ইউরোপের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অর্থ কী


২০১৪ সালে ন্যাটোর লক্ষ্য ছিল জিডিপির ২ শতাংশ প্রতিরক্ষায় ব্যয়—যখন যুক্তরাষ্ট্র, যদিও অনিচ্ছায়, বিশ্ব পুলিশের ভূমিকা পালন করত। এখন সেই সময় আর নেই। রাশিয়ার সামরিক আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে ইউরোপকে অন্তত দ্বিগুণ প্রতিরক্ষা ব্যয় করতে হবে। আমি আরও এক ধাপ এগিয়ে বলছি, ২০২৮ সালের মধ্যে ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় ৪ শতাংশ হওয়া উচিত।

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস ও পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক নিজেদের দেশের জন্য যেসব উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখাচ্ছেন, সেগুলো গোটা ইউরোপে বাস্তবায়িত হতে হবে। 

বড় সেনাবাহিনী ও বেশি অস্ত্র সরঞ্জাম সরাসরি হামলার ভয় কমাবে, কিন্তু শুধু এসব যথেষ্ট নয়। যদি ইউরোপের বাড়তি ব্যয় শুধু সামরিক সরঞ্জাম কেনাকাটাতেই সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে ইউরোপ তার নিজের উচ্চপ্রযুক্তি বিপ্লব ঘটানোর সুযোগ হারাবে। 

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শক্তির পেছনে রয়েছে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন—এআই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, বায়োটেক। এ জায়গাগুলোতে ইউরোপ পিছিয়ে পড়ছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ওপর আমাদের নির্ভরতা আরও বাড়বে। 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *