ইউক্রেনে ১০ লাখ সেনা হারিয়ে রাশিয়া এখন কী করবে


তবে সেনাসংকট মোকাবিলায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি হলো বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় বেতন ও সুবিধা দেওয়া। প্রতি মাসে এভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের মাসে কমপক্ষে ২ লাখ রুবল (২ হাজারের বেশি মার্কিন ডলার) বেতন দেওয়া হয়। যুদ্ধরত সেনারা এখন রাশিয়ার শীর্ষ আয়কারী ১০ শতাংশের মধ্যে স্থান পেয়েছেন।

উচ্চ বেতনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী বা ‘চুক্তিভিত্তিক’ নিয়োগপ্রাপ্ত সেনা পরিবারগুলোকে নানা সুযোগ–সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। নিম্ন সুদে গৃহনির্মাণ ঋণ দেওয়া হচ্ছে। যুদ্ধে যাঁরা নিহত হচ্ছেন কিংবা স্থায়ীভাবে পঙ্গু হচ্ছেন, তাঁদের উদার হস্তে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। কিছু অঞ্চলে, সমাজকল্যাণ বাজেটের অর্ধেকেরও বেশি অংশই বরাদ্দ করা হচ্ছে, সেনা ও তাঁদের পরিবারদের জন্য।

অর্থের এই প্রবাহ অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা রাশিয়ার কিছু অঞ্চলের মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে। এই আর্থিক উন্নতি ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ প্রতি জনসমর্থন আরও জোরালো করেছে।

কিন্তু কোনো অঞ্চল থেকে এতসংখ্যক পুরুষের অন্যখানে চলে যাওয়া (তাঁদের অনেকেই কোনো দিন আর ফিরে আসবে না) অনেক ছোট সম্প্রদায়ের জনমিতিক বিন্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে। এসব জনগোষ্ঠীর বড় অংশই এখন নারী, ছোট শিশু ও বয়স্করা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *