৩২ বছর বয়সী ইগর বাবিচ অবশ্য স্বেচ্ছায় যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি সেরিব্রাল পালসিতে (জটিল স্নায়বিক রোগ) আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের ফিজিওথেরাপি দিতেন।
বিবিসির সংগৃহীত উপাত্ত অনুযায়ী, ওই দিন মোট ২০১ জন রাশিয়ান সৈন্য প্রাণ হারান।
প্রশিক্ষণ ভূমিতে হামলার কয়েক ঘণ্টা পর রাশিয়ার তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করে যুদ্ধক্ষেত্রে সামরিক সাফল্যের খবর দেন।
কিন্তু এতে প্রশিক্ষণ ভূমিতে হামলার কোনো উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রোজকার প্রতিবেদনে এ বিষয়ে একটি শব্দও ছিল না।
ওখুঞ্জন রুস্তামভের এক আত্মীয় জানান, যুদ্ধ চলার সময় ইতিমধ্যে তিনি পরিবারের ঘনিষ্ঠ তিন সদস্যকে হারিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের ডিসেম্বরে আমার স্বামী মারা যান। ১০ ফেব্রুয়ারিতে আমার ধর্মপিতা (গডফাদার) এবং ২০ ফেব্রুয়ারিতে নিহত হন আমার সৎভাই। এক শবযাত্রা থেকে আরেক শবযাত্রা।’
বিশ্লেষণে বিবিসি সৈন্যদের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট তারিখকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। যখন তা পাওয়া যায়নি, তখন তারা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার তারিখ বা মৃত্যুর খবর প্রকাশের তারিখ ব্যবহার করেছে।
যুদ্ধের প্রথম দুই বছরে অর্থাৎ ২০২২ ও ২০২৩ সালে, রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতি ঢেউয়ের মতো ওঠানামা করেছে। কখনো প্রচণ্ড যুদ্ধে অনেক মানুষ নিহত হতো, কখনো আবার পরিস্থিতি শান্ত থাকাত।