ইতিহাসের একটা ওজন আছে। খেলোয়াড়েরা সেই ওজন বইতে না পারলে মাঠের দৌড়টা আর থাকে না। এই দুই লেগের কথাই ধরুন। দুই লেগ মিলিয়ে আর্সেনালের তুলনায় ২১.২ কিলোমিটার কম দৌড়েছেন রিয়ালের খেলোয়াড়েরা। ফিরতি লেগে সেটা ৯.৫ কিলোমিটার। এই পরিসংখ্যান দেখে তাই প্রচলিত সে কথাটি বলাই যায়, গায়ে আগুন লাগলে সবাই দৌড়াতে বাধ্য। এমিরেটসে তিন গোলের ‘আগুন’ এর ছ্যাঁকায় গা পোড়ার পর বার্নাব্যুতে রিয়ালের খেলোয়াড়দের পড়িমরি করে দৌড়ানোর কথা ছিল, কারণ প্রতিপক্ষ একে তো ইংলিশ ক্লাব, যারা সাধারণত দৌড়ে খেলায় বিশ্বাসী। এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে রিয়াল আসলে একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে খেলেছে। না, লাল কার্ড দেখেননি কেউ।
হিসেবটি ফুটবলের, যেখানে একটি কথা প্রচলিত, প্রতিপক্ষের চেয়ে ১৪ কিলোমিটার কম দৌড়ানো মানে আপনি একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে খেলেছেন। এখন রিয়ালের তো খেলোয়াড় কম ছিল না। তাহলে চেষ্টায় ঘাটতি ছিল? এই পরিসংখ্যানের দাবি তো সেটাই। আর এ দাবির বশেই বলা যায়, মাঠে নয় ‘মুখে মারিতং’ খেলেছে রিয়াল। নইলে তিন গোলে পিছিয়ে থাকা একটি দল, তাও বিশ্বের অন্যতম সেরা আক্রমণভাগ যাদের, তাঁরা কীভাবে ম্যাচের ৫৬ মিনিট পর্যন্ত প্রতিপক্ষের পোস্ট তাক করে একটি শটও নিতে পারে না! কীভাবে গোটা ম্যাচে কীভাবে প্রতিপক্ষের পোস্টে মাত্র তিনটি শট নিতে পারে, যেখানে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের নাম কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো!