কিন্তু এখন যা ঘটছে, তাতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। পিটিআইয়ের অতীতে রাজধানীতে ঝড় তোলার জন্য বেশ কয়েকটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু এই ফাইনাল কলের পর যে জনস্রোত নেমেছে, তার তীব্রতা ও হিংস্রতা দেখে অনেক সমর্থকও বিস্মিত হয়েছেন। প্রশাসন শক্তি ব্যবহার করেছে নৃশংসভাবে। সেনাও মোতায়েন হয়েছে। তবু পিটিআইয়ের এই চূড়ান্ত আক্রমণ কতটা ঠেকানো যাবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
ইমরান খানের ২৪ নভেম্বরের প্রতিবাদের আহ্বান ছিল খুব হিসাব করা। ক্ষমতাসীন জোট সেনাবাহিনীর সমর্থনে সংবিধানে কিছু বিতর্কিত পরিবর্তন এনে বিচারিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করেছে। সুপ্রিম কোর্টকে কার্যনির্বাহী প্রশাসনের অংশে পরিণত করার চেষ্টাও বিরোধীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। আদালতও যদি পোষমানা হয়ে যান, তাহলে সেখান থেকেও কোনো সহায়তার আশা শেষ।
বিনা বিচারে বিরোধীদলীয় নেতারা কারাগারে বন্দী। মূল অভিযোগেগুলো থেকে আদালত জামিন দিলেও সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। নতুন মামলা দায়ের করেছে। সমর্থকেরা আরও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ইমরান খানের ‘ফাইনাল কল’ শুধু দলের সমর্থকদেরই নয়, সেনাদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবে অসন্তুষ্ট অন্যদেরও উৎসাহিত করেছে।