আয়নাঘরের দুঃস্বপ্নের সেই সব দিন


ন্যায়বিচারের সন্ধানে

শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর নারী–পুরুষের ছোট একটি দল রাস্তায় লাখো উল্লসিত জনতার ঢেউ ঠেলে হাজির হয়েছিল সেনা সদর দপ্তরের ফটকে।

ওই দলে এমন কিছু ব্যক্তি ছিলেন, যাঁরা হাসিনার আমলে জোরপূর্বক গুমের শিকার হয়েও বেঁচে যান। তাঁদের একজন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান। দেড় বছর নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা আয়নাঘর প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা দিন–রাত ঘুমাতে পারতাম না। লোকজন কাঁদত, চিৎকার করত, তাঁদের নির্যাতন করা হতো।’

ফটকে হাজির হওয়া নারীরা খুঁজছিলেন তাঁদের হারানো স্বজনদের। তাঁরা অনেক বছর ধরেই দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, স্বজনের সন্ধানে। জীবিত না পেলেও তাঁরা চান, স্বজনের মরদেহের সন্ধানটুকু পেতে।

এ ঘটনার পর কয়েক দিনে ফিরে এসেছেন আরমান, আজমি ও মাইকেল চাকমা। তাঁদের এ মুক্তি গুমের শিকার অন্য ব্যক্তিদের মা, বোন, স্ত্রী–কন্যাদের মনে আশা জুগিয়েছে।

ঢাকা সেনা সদর দপ্তরের মতোই দেশের অন্যান্য অংশে বিভিন্ন সেনাঘাঁটির বাইরে হারানো স্বজনদের খোঁজে ভিড় করেছিলেন অনেকে। তাঁদের সবার প্রশ্ন, ‘আমাদের প্রিয় মানুষ কোথায়?’ স্বজন হারানো এসব ব্যক্তি যেখানেই সমবেত হোন না কেন, তাঁদের দাবি, ‘বন্ধ করা হোক এসব আয়নাঘর’।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *