গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের প্রায় সবাই পর্যটক। নয়াদিল্লির দাবি, এই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কিন্তু ইসলামাবাদ তা নাকচ করেছে। এর পর থেকে উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এরই মধ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীকে ‘অভিযান পরিচালনার পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন, যেন তারা পেহেলগাম হামলার জবাব দিতে পারে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরসহ দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা বলেছেন, ভারত হামলা চালালে তাৎক্ষণিকভাবে শক্ত জবাব দেওয়া হবে। গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, ভারত শিগগির পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে বলে তাঁদের হাতে ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ রয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে। গত শনিবার একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। এর মাধ্যমে দেশটি নিজেদের ‘অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি’র জানান দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো উত্তেজনা কমাতে পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মাঠে জরুরি প্রশিক্ষণ চালানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের খাদ্য ও ওষুধ সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে এবং ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) বন্ধ রাখা হয়েছে।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ধরতে ব্যাপক অভিযান চলছে। সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের অনেকে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছেন অথবা সংঘর্ষের আশঙ্কায় তাঁরা বাংকার পরিষ্কার করছেন।