নাজিম উদ্দিনের অভিযোগ, হামলাকারী ব্যক্তিরা হাসপাতালের প্রবেশপথের ওই ডিজিটাল সাইনবোর্ডের পাশাপাশি ভেতরে তাঁর কক্ষের টেবিলের কাচসহ অন্যান্য সামগ্রী, এক্স-রে কক্ষের কম্পিউটার, ল্যাপটপ, জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষ, ওষুধের দোকানের কাচ, আসবাবপত্র এবং সামনে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স, একটি প্রাইভেট কার ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া ক্যাশ কাউন্টার এবং ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ ও টাকা লুট করে নিয়ে যান বলে তিনি অভিযোগ করেন।
হাসপাতালে দলীয় কর্মীদের হামলা হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান আজ বুধবার দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ওই হাসপাতালের ডিজিটাল স্ক্রিনে আওয়ামী লীগ ফিরে আসার প্রচারণার খবর পেয়ে দলীয় কিছু কর্মী-সমর্থক প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিল। এর মধ্যে অতি উৎসাহী দু-একজন হাসপাতালে কিছুটা ভাঙচুর করেছে। পরে আবার দলের লোকজনই তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তাহের প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতাল সড়কের একটি হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুরের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ গিয়ে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। তাঁকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।