রহিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি যে জায়গাতে দাঁড়িয়ে ছিলাম, ঠিক কাছেই শোঁ শোঁ আওয়াজ করে একটি যুদ্ধবিমান আমারই চোখের সামনে আছড়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্কুলে আটকে পড়া বাচ্চাদের আহাজারি আমি শুনতে পাই। তখন আমার মাথায় কেবল সামিয়া।’
রহিম বলেন, ‘দেখি আমার মেয়ের ক্লাসরুমের ভবনে আগুন জ্বলছে। এ দৃশ্য দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই। তখন আমি দৌড় দিয়ে আমার মেয়ে যে ভবনে ছিল, সেই ভবনের কাছে যাই। সামনের অংশে আগুন ছিল অনেক বেশি। পরে পেছন দিয়ে ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করি। তখন সেখানে টিনের বেড়া ছিল। সেই বেড়া টপকে আমি সেনাসদস্যদের সহায়তায় দোতলায় উঠে যাই।’
রহিম আরও বলেন, ‘আমি দোতলায় দেখতে পাই, বাচ্চাদের আগুন ঘিরে ধরেছে। বাচ্চাদের বাঁচাও, বাঁচাও চিৎকার। আমি যাকে সামনে পেয়েছি, সেখান থেকে উদ্ধার করেছি। অন্তত আট থেকে দশটা বাচ্চা আমি উদ্ধার করি। তখন আমার সামিয়াকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে ভবনে আমার সামিয়াকে দেখতে পাই। সামিয়াকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই।’