বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব জান্নাতকে নিয়ে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে তখন বলেছিলেন, ‘সে ছোটবেলা থেকে এ পর্যন্ত মেয়ে হিসেবেই গণ্য হয়ে এসেছে। তার স্কুল-কলেজের রেকর্ড পত্রসহ সবকিছুতেই তা আছে। এটা ঠিক যে প্রশ্ন ওঠায় আমরা বেশ কিছুদিন তার খেলাটা স্থগিত রেখেছিলাম। তবে সব জায়গায় যোগাযোগ করে এটা আমি বলতে পারি, ওর নারীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা অন্যায়। যে কারণে ওর ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছিল কি না, হলেও কী ফল, সে ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
২০২৩ থেকে এ পর্যন্ত ৪ বার খেলে ৪টি সোনা জিতেছেন জান্নাত। শটপুটে আছে রুপা। ২০২৪ সালে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জাতীয় প্রতিযোগিতা হয়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আবারও সেনাবাহিনীর হয়ে জাতীয় অ্যাথলেটিকসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বর্শা নিক্ষেপে সোনা জেতেন জান্নাত।
এর আগে ২০২৩ সালের আগস্টে নৌবাহিনী বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের নিয়ম উল্লেখ করে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত আপত্তি জানায় ফেডারেশনের কাছে। তাদের দাবি ছিল, লিঙ্গ-পরিচয় অনিশ্চিত থাকলে সংশ্লিষ্ট অ্যাথলেটকে প্রতিযোগিতায় নামতে দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে জান্নাতকে নিয়েই প্রথম লিঙ্গ-বিতর্ক তৈরি হলেও বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে এর নজির আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার দৌড়বিদ ক্যাস্টার সেমেনিয়া ৮০০ মিটারে দুটি অলিম্পিক সোনা জেতার পরও বারবার এ ধরনের বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন।