একই সঙ্গে সহিংসতার পথ ছেড়ে সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান ও ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান সেনাপ্রধান। তিনি অতি শিগগির ছাত্র-শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলেও জানান।
সেদিন বিকেলে বঙ্গভবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৈঠকে আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবাইকে ধৈর্য ও সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানানো হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে বৈঠকে একমত পোষণ করা হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় আটক সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ও নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বঙ্গভবনে সেই বৈঠকে ছিলেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস, জামায়াতে ইসলামীর শফিকুর রহমান ও এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, জাতীয় পার্টির জি এম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মুজিবুল হক, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, খেলাফত মজলিসের মামুনুল হক, ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম ও আশরাফ আলী আকন, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ূম, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম, মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে রাব্বী প্রমুখ।