সে ক্ষেত্রে ইন এইড টু সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অথবা স্ট্রাইকিং ফোর্সের বাইরে গিয়ে কিছু একটা হতে হবে এবং সেনাবাহিনীর আরেকটু প্রত্যক্ষ এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ লাগবে উল্লেখ করে দেবপ্রিয় বলেন, কিন্তু সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক মানুষের দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ফলে সরকারের নিরপেক্ষতা ও সরকারের সক্ষমতা—এই দুটো বিষয় এখন দুটো বড় প্রশ্ন। যেহেতু এটা অন্তর্বর্তী সরকার, আমি মনে করি সরকারের সময় হয়েছে একটা ডেস ক্লিয়ারিং লিস্ট করার। এখন যদি জাতির উদ্দেশ্যে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বক্তৃতা দেন, আমি প্রত্যাশা করব যে তিনি কী দিয়ে সমাপ্ত করতে চাইছেন, সেটাকে তিনি পরিষ্কার করবেন। যেসব সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেগুলো কোথায় কোথায় তিনি শেষ করবেন, কোথায় কোথায় অংশগ্রহণ করবেন…।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেছেন, সংস্কার একটা অব্যাহত প্রক্রিয়া। রাজনৈতিক নেতাদের এখন নির্বাচনের ইশতেহার দিতে হবে। ওই ইশতেহারে আমাদের নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে আলোচনা বা আন্দোলন দরকার হলে তা করা দরকার। দেশ থাকবে, জনগণ থাকবে, সরকার আসবে যাবে। এই চিন্তাটা মাথায় রেখে জাতিগঠনের এই অবস্থান থেকে ওই উত্তরণের জায়গাটাতে পৌঁছাতে হবে। এখন গত বছরের মূল্যায়নের চেয়ে আমি আগামী এক বছরের এই নিষ্ক্রমণ পদ্ধতিটা কী হবে বা এক্সিট পলিসিটা কী হবে, সেটার জন্য কী কী প্রয়োজন পড়বে, সেগুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আমি প্রয়োজন বোধ করেছি।