শেরপুর বন বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এখানে বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে হাতি হত্যা করা হয়। বনের জায়গা দখল করে ধান চাষ ও নানা জাতের ফলের বাগান রক্ষা করতে এসব হাতি হত্যা করা হয়।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে মৃত্যু হওয়া ১১৪টি হাতির মধ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ৭টি; বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে হত্যা করা হয়েছে ২৬টি হাতি। দুর্ঘটনার কারণে ১৮টি, অসুস্থ হয়ে ৪০টি, বয়সের কারণে ১৫টি ও অজ্ঞাত কারণে ১০টি হাতি মারা গেছে। তবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সংবাদপত্রে প্রকাশিত হাতি হত্যার প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ সময়ে শুধু কক্সবাজার এলাকাতেই ১৮টি হাতি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর অভিযোগ, হাতি হত্যার ঘটনায় যে ময়নাতদন্ত হয়, সেখানে প্রকৃত কারণ গোপন করে বার্ধক্যের কারণ বা অসুস্থতার কারণে মারা গেছে উল্লেখ করার প্রবণতা আছে বন বিভাগের।