শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, জাহিদুর রহিম ও তাঁর ভাই আমিনুল করিম একটি রাজনৈতিক দলের নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে কয়েকজনকে নিয়ে বোর্ডে যান। তিনি তাঁদের সামনে অভিযোগ তোলেন, চেয়ারম্যান ও সচিব দুর্নীতি করেছেন। আর অন্যায়ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরে চেয়ারম্যান কাগজপত্র বের করে দেখান, তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সঠিক নয়। বরং জাহিদুর রহিমের অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারপরও বোর্ডে চেয়ারম্যান ও সচিবকে লাঞ্ছিত করা হলে পুলিশ যায়। সেনাবাহিনীর একটি দলও আসে। এরপর বহিরাগতরা চলে যান।
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অলীউল আলম বলেন, তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং বহিরাগতদের নিয়ে এসে বোর্ডে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরির অভিযোগে জাহিদুর রহিম ও তাঁর ভাই আমিনুল করিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দুই ভাইসহ ৩০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে জাহিদুর রহিমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন বলেন, বোর্ডে সচিব ও চেয়ারম্যানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে উল্লেখ করে সচিব হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁরা তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করবেন।