রাজনৈতিক অস্থিরতা চলার মধ্যে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি (১/১১) গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া স্থগিত করে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশে ক্ষমতা গ্রহণ করে ও দুই বছর শাসনকাজ চালায়।
‘বাংলাদেশকে বারবার বিভক্ত করা হয়েছে, জাতীয় ঐক্য নষ্ট করা হয়েছে, যাতে দেশ দুর্বল থাকে,’ নাহিদ লিখেছেন।
অধ্যাপক ইউনূসকে দায়িত্বে থাকার এবং সংস্কার, ন্যায়বিচার ও ভোটাধিকার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পূরণ করার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস অবশ্যই তাঁর দায়িত্বে থেকে সব রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করবেন।’
নাহিদ এনসিপির দাবিদাওয়াগুলোও তুলে ধরেছেন। এগুলো হলো—সময়মতো জুলাই ঘোষণা, ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন আয়োজন (ইউনূস বারবার বলেছেন, নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুলাই ২০২৬–এর মধ্যে হবে), নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করাসহ ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা, জুলাই হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যমান বিচার এবং একযোগে গণপরিষদ ও জাতীয় সংসদের নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের রোডম্যাপ ঘোষণা।
এসবের মধ্যে জনগণের উদ্বেগ বাড়ছে। শুক্রবার সেনাবাহিনী একটি ফেসবুক সতর্কবার্তায় এক ভুয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে বলেছে, এটি জনগণ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভ্রান্তি এবং বিভাজন সৃষ্টি করার স্পষ্ট চেষ্টা। বিবৃতিতে সতর্ক করে আরও বলা হয়, ‘গুজবে বিশ্বাস করবেন না। বিভ্রান্ত হবেন না।’ উল্লেখ্য, ভুয়া বিজ্ঞপ্তিটি এক দিন আগে ছড়ানো ও তাতে অবৈধভাবে সেনাবাহিনীর লোগো ব্যবহার করা হয়।
সময় গড়িয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে সবার দৃষ্টি এখন মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে—তিনি কি পারবেন দৃঢ় অবস্থান নিতে? পারবেন কি গত বছরের নাটকীয় গণ–অভ্যুত্থানের পর দেশের দ্বিতীয় রূপান্তরকে সফলভাবে নেতৃত্ব দিতে নতুন ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে?
অনুবাদ: মো. আবু হুরাইরাহ্