পাহাড়িরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা চায়, আমরা কোনো সময় বিচ্ছিন্নতার কথা বলিনি


কে এস মং: পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব উদ্যোগ নেওয়া খুব জরুরি তা হলো, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক গঠিত পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ক্ষমতায়ন করা।

এ লক্ষ্যে স্থায়ী বাসিন্দা নিয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে সাধারণ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা, পুলিশ, ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, বন ও পরিবেশ, পর্যটন, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদিসহ অহস্তান্তরিত বিষয়গুলো হস্তান্তর করা, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠন করা, ভারত প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ জুন্ম উদ্বাস্তুদের জায়গাজমি প্রত্যর্পণ পূর্বক যথাযথ পুনর্বাসন প্রদান করা, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক ‘অপারেশন উত্তরণ’সহ সকল অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার করা, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যাননিযুক্ত করণ ও বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন করা ইত্যাদি। এ ছাড়া পাহাড়ের জনগণের মধ্যে যে আস্থার সংকট তৈরি করা হয়েছে, সেটি দূর করার জন্য সরকার কর্তৃক দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *