পার্বত্য চুক্তির সেই প্রতিশ্রুতি আর কবে পূরণ হবে


এখন বাংলাদেশ আবার এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে। নতুন সরকার পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠন করেছে, যেখানে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আহ্বায়ক, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা ও শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কমিটি পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া পরিবীক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের পাশাপাশি চুক্তি বাস্তবায়নসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এবং প্রয়োজনে সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।

আবারও আশার প্রদীপ জ্বলছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতারা ও নাগরিক সমাজ চাইছে অন্তর্বর্তী সরকার শুধু কথায় নয়, সুস্পষ্ট সময়সীমাসহ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসুক। (প্রথম আলো, ২০ জুন ২০২৫)

এটা বেশ আশাজাগানিয়া যে দেশের মূলধারার অধিকারকর্মীরা ও নাগরিক সমাজও এখন পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্নভাবে জোরালো আওয়াজ তুলছেন। ৯ আগস্ট ২০২৫ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে জাতীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত আলোচনা সভায় নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের জোরালো দাবি উঠেছে।

রাঙামাটিতে নবগঠিত পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির প্রথম বৈঠকের পর তৌহিদ হোসেন এটিকে ‘ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেন এবং ধারাবাহিক সংলাপের প্রতিশ্রুতি দেন। কমিটি চুক্তির মূল ধারাগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণের অঙ্গীকার করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার দাবি করেছে যে তারা চুক্তিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এটি পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলা যেতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *