গতকাল রোববার সন্ধ্যায় লি ও ফরিদুল ইসলামের কথাবার্তা ও আচরণে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সন্দেহ হলে পাসপোর্ট নম্বর ও বাংলাদেশে অবস্থানকালীন বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা দেখাতে ব্যর্থ হলে বিষয়টি মদন অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্প ও কেন্দুয়া থানা-পুলিশকে জানানো হয়। পরে সেনাসদস্য ও পুলিশ এসে আজ ভোরে তাঁদের আটক করে। তাঁদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়। এ সময় তিন কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, লি ও ফরিদুল ইসলামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ফরিদুল নিজেকে পোশাক কারখানার শ্রমিক পরিচয় দিলেও তাঁর মুঠোফোন ঘেঁটে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য কিশোরীর ছবি, ভোটার আইডি, পাসপোর্ট, অর্থ লেনদেনের তথ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলামত পাওয়া গেছে। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। চক্রটি দালালদের সহযোগিতায় মূলত গ্রামের সহজ-সরল ও দরিদ্র পরিবারের নারীদের নিশানা করে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে চীনে পাচার করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।