উপাচার্যের বক্তব্যের পর বেলা তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান এ কে এম রাকিব, ফয়সাল মুরাদ, ফেরদৌস শেখ ও আতিকুর রহমান তানজিল।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে পাওয়ার আগপর্যন্ত ক্যাম্পাসে শাটডাউন কর্মসূচি চলমান থাকবে। তবে সব ধরনের জরুরি সেবা (রেজিস্ট্রার অফিস, মেডিকেল সেন্টার, ক্যানটিন এবং ডিন ও বিভাগীয় অফিসগুলো) শাটডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। শাটডাউন অবস্থায় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের বিক্ষোভ-শোডাউন, স্লোগান-মিছিল এবং জ্বালাও–পোড়াও করা যাবে না।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, লিখিত সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের দাবির অনুকূলে না এলে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।
লিখিত নিশ্চয়তার দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থী মাকছুদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় এর আগেও সেনাবাহিনীকে কাজ দেবে বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছিল। দুই মাস যাওয়ার পরও আমরা সেটার অগ্রগতি দেখিনি। তাই লিখিত না আসা পর্যন্ত আমরা কোনো কথা বিশ্বাস করছি না। লিখিত পেলেই আমরা আশ্বস্ত হব।’
আরেক শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু আমরা এখনো লিখিত কোনো রেজল্যুশন (সিদ্ধান্ত) পাইনি, সেহেতু আমাদের চলমান শাটডাউন কর্মসূচি বহাল থাকবে।’