দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হঠাৎ কেন সামরিক আইন জারি করলেন, এখন সামনে কী


কিন্তু ইউনের ঘোষণা তাৎক্ষণিকভাবে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে আখ্যায়িত করেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিবিদেরা। প্রেসিডেন্টের নিজ দল রক্ষণশীল পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতারা পর্যন্ত তাঁর এ সিদ্ধান্তকে ‘ভুল পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেন।

ইতিমধ্যে সবচেয়ে বড় বিরোধী দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জে-মিউং প্রেসিডেন্টের ঘোষণা ব্যর্থ করে দিতে ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়ার জন্য তাঁর আইনপ্রণেতাদের পার্লামেন্টে আসতে বলেন। বিক্ষোভ দেখাতে দেশের সাধারণ জনগণকেও পার্লামেন্টের বাইরে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

লি জে-মিউং তাঁর আহ্বানে বলেন, ‘ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, বন্দুক ও ছুরি হাতে সেনাসদস্যরা দেশ পরিচালনা করবেন…আমার প্রিয় নাগরিকেরা, অনুগ্রহ করে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে আসুন।’

বিরোধীদলীয় নেতার এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাতেই পার্লামেন্ট অভিমুখে ছুটে যান হাজারো মানুষ। বর্তমানে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পার্লামেন্ট পাহারা দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরাও পার্লামেন্টের বাইরে স্লোগান দিচ্ছেন, ‘সামরিক আইন মানি না!’, ‘স্বৈরশাসক নিপাত যাক’।

ঘটনাস্থল থেকে সম্প্রচারিত স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে পার্লামেন্টের ফটকে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে কিছুটা হাতাহাতি হতে দেখা গেছে। সেখানে সেনাসদস্যদের উপস্থিতি সত্ত্বেও উত্তেজনা সহিংসতায় মোড় নেয়নি।

আইনপ্রণেতারাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে পার্লামেন্টে যেতে ও ভোটাভুটিতে অংশ নিতে সক্ষম হন। এমনকি ভোটকক্ষে যেতে কোনো কোনো আইনপ্রণেতাকে বেষ্টনী টপকাতে দেখা যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *