গাজা যুদ্ধ ভবিষ্যৎ বিশ্বনেতাদের চোখে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের এক নতুন দৃষ্টিকোণ তৈরি করে দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর ইসরায়েল ভেবেছিল যে তারা ফিলিস্তিন সমস্যার ইতি টেনেছে। ভেবেছিল যে বিশ্বমতামত তাদের পক্ষে। কিন্তু বাস্তবতা মোটেই তা নয়।
পশ্চিমা সরকারগুলো প্রথমে যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদকে ইহুদিবিদ্বেষ বলে নিন্দা করেছিল। পরে একে সন্ত্রাসবাদ বলে আইন করে দমন করা হয়েছে। কিন্তু দুনিয়াজোড়া এই প্রতিবাদগুলো ফিলিস্তিন মুক্তির জন্য একটি বৈশ্বিক ফ্রন্ট গড়ে তুলেছে। ইসরায়েল বর্জনের আন্দোলন আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েল আজ আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে। নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার মামলা চলছে। পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর আদালতে আরও অসংখ্য মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের গাজা অভিযানে অংশগ্রহণকারী সেনাদের পরিচয় গোপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, তারা আশঙ্কা করছে যে বিদেশ ভ্রমণের সময় তাদের বিচারিক প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে। এই বড় পদক্ষেপ ছোট এক সংগঠনের কারণে সম্ভব হয়েছে। এই সংগঠনের নাম ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত হওয়া ছয় বছর বয়সী একটি শিশু হিন্দ রজবের নামে।
বেলজিয়ামভিত্তিক এই সংগঠন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে এক হাজার ইসরায়েলির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ জমা দিয়েছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির ফলে ফিলিস্তিনের দুঃস্বপ্ন শেষ হয়নি। তবে ইসরায়েলের জন্য নতুন সমস্যার শুরু হয়েছে।